শুক্রবার, এপ্রিল ১৯, ২০২৪

শ্রীরাধা ডেকাড্রন এবং স্ট্রং কফি


প্রশ্নের মুখগুলো কেমন কুমিরের হাঁ-এর মতো ক্রমশ খুলছে ও বড়ো হচ্ছে। রঙের পাশে রং। প্রশ্নের মুখে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রখর-পুরুষ এগিয়ে চলছে। না, কোনোও বিভ্রম নেই। মিডিয়ার বাড়াবাড়ি নেই। দীর্ঘ নদী বাঁক বদল করলে স্নো-ফল হয় ইচ্ছেবাড়ির মায়া-গলিতে। দীর্ঘ রাত স্কার্ট-টপ খুললে বাঁ-ঊরুর দাগটা আরও বেশি করে জেগে ওঠে। প্রশ্নের মুখে এখন অস্বীকার ঝুলে আছে মাধবীলতা গাছের ফুল সমেত ডালের মতো। ব্যালকনিতে এখন নিয়মিত জোনাকি আসে। জাতীয় পুরস্কারের জন্য নমিনেটেড ছবির মতো হেঁটে আসছে ব্যালানো। নীল রঙের। একটা বর্ষাকাল নামলে যেভাবে শরীরও জেগে ওঠে বেহেড মাতালের মতো, জেগে ওঠা সেভাবেই। শরীরের কাছে আরও বেশি করে শরীরের ঋণী হয়ে যাওয়া।আরও বেশি করে নত হওয়া। প্রশ্নের মুখগুলো খুলছেই প্রজাপতির ডানার মতো। ডানার ছায়ায় ছোঁয়া লাগলে পৃথিবীর খোঁপা ভেঙে পড়ে স্কাই-রাইজ বিল্ডিংএ। আয়নার উলটো দিকের মুখ বদলে নেয় নাকছাবি। গ্রে-ডিফাইনার মায়াবী করে তোলে তার ভ্রু। মেসেঞ্জারের কোনও একটা থ্রেড থেকে উঠে আসে অতীত ও ইস্কাবন। উঠে আসে বাসি আদরের চিহ্ন। উঠে আসে উঠে আসা আরও কত-কত-কী! উড়ে যায় পায়রার দল।একটা ট্রাজিক অ্যাক্সিডেন্টকে যারা লাবণ্য বলে ডাকে, তারা চেনে না কোনও অন্ধকারের ঋণের কথা। পুড়তে চাওয়ার ইচ্ছেতে 'বললাম', 'ভাবলাম', 'বুঝলাম'- তীব্র ক্লান্ত করে। প্লে-স্কুল থেকে উঠে আসে অনেক বিস্ময়। প্রশ্নের মুখে খসে পড়ে ডানা। শরীরহীন হতে চেয়ে আবার শরীরে ফেরা। পৃষ্ঠায়-পৃষ্ঠায় ফোর-প্লের গোপন। একটা মোম-পলিশড দুর্গম। ঠিকএই কারণেই তোমাকে আমার কোনও কথা বলা যায় না। আসলে কোনোদিনই বলা হয়নি। মহুয়া গাছের নীচে একটা 'সারপ্রাইজ' অপেক্ষা করছে। মহুয়া গাছের নীচে মাথাঘোরা-বমির গল্প থাকে। গান শিখিয়ে ফিরে যায় বিধ্বস্ত অতীত। সাগর সেন বেজে চলেন 'আড়ালে-আড়াল'...প্রতি হেমন্ত রেখে যায় আরও কিছু ইতিহাস। রেখে যায় একটা বিশ্বস্ত স্যান্ডউইচ। সাবওয়ের কালোর মতো ঘন হয় প্রশ্নের মুখ। হাঁ-করে গিলতে আসে অসংখ্য প্রশ্ন। আমার একটু তাড়া আছে। স্ট্রং-কফি আর অর্গাজম খুব-খুব দ্রুত এগিয়ে আসছে সামনে... ছ্যাঁকা লাগার ভয় আর ডেকাড্রন উড়ে যায় বেলা একটা বাহান্নর ফ্লাইটে। বালির দেশ। অ্যান্টি- ট্যানিং লোশন।

কার ওপর এ অভিমান...কার ওপর এই শোধ লেখা নিজের চামড়ায়...?!

সময় ভীষণ কম। রঙের পাশে রং... ইতিহাস বিমুখ হলে নদীতেই রাধা খোঁজে সারাজীবনের সমস্ত বসন্ত উৎসব...মহাভাবস্বরূপিনী-হ্লাদিনী শক্তি প্রণয়িনী শ্রীরাধা...

আমার একটু তাড়া আছে...