শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪

করোনা কালের ডায়েরি, তৃতীয় পাঠ

প্রবালদা এক নাগাড়ে বলেই যাচ্ছেন । শেখরবাবু শুনছেন শুধু । তাঁর এই আগের অভ্যাসটা রয়েই গেছে । নেতৃত্বের অভ্যাস । তারপর হঠাৎ প্রশ্নচ্ছলে বলে উঠলেন প্রবালদা , আচ্ছা, শেখর আহমদের আগে থেকেই অসমে যেসব আদিবাসীরা থাকতো এই যেমন মরান , কছারি, মিসিং ' ' ইত্যাদি , তাদের ভাষা-সংস্কৃতির সংগে আহমদের ভাষা-সংস্কৃতির সংমিশ্রণেই তো অসমিয়া জাতিটা গঠিত হয়েছে । আমার জানতে ইচ্ছে করে , আহমদের সংগে কি অ-আহমদের বিয়ে হয় ?

শেখরবাবু একটু ধাক্কা খেলেন , এ বিষয়টি তিনিও আগে কখনো ভাবেননি । তবে মাথায় একটা চটপট জবাব এসে গেল ,দু একটা প্রেমঘটিত উপায়ে হয়ে থাকলেও প্রবালদা , পারিবারিক সূত্রে অর্থাৎ অ্যারেঞ্জ মেরেজ মনে হয় হয় না । কারণ , আহমরা দাম্ভিক-সংস্কারের পরিবাহক । ওরা নিজেদের রাজ বংশধরের অংশ হিসেবেই ভাবে এখনো ...

--- হুম , এ বড়ো কঠিন সংস্কার , কাঁঠালের আঁঠা ...

বলতে বলতে হো হো করে হেসে উঠলেন প্রবালদা ।

শেখরবাবু আশ্চর্য হয়ে ভাবতে লাগলেন , প্রবালদা কী ভাবে এই কোভিডের আবহাওয়াতেওও রকম ভাবে হাসছেন !

শেখরবাবু কৌতূহলী হয়ে বলে উঠলেন , প্রবালদা আপনাদের ওখানে কোভিড নেই ?

--- কেন থাকবে না , আমার বাড়ির চারপাশেই তো কোভিডের ছড়াছড়ি , অনেকেই তো সুস্থ হয়ে ফিরছে , তবে আমার বাড়ির পেছনের এক বয়স্কভদ্রলোক গতকাল মারা গেছেন ...

শেখরবাবুর বুকটা ছ্যাৎ করে উঠলো । প্রবালদা কথাটা কত সহজেই না বলে ফেললেন।

--- প্রকৃতির প্রতিশোধ শেখর, এগুলো হচ্ছে প্রকৃতির প্রতিশোধ , যেভাবে শুরু করেছিল সেভাবেই একদিন শেষ করবে এই প্রকৃ্তিই ...এখন শুধু অপেক্ষা আর সাবধানে থাকা ...তুমি কেমন আছো শেখর ?

শেখরবাবুএকটু সময় নিয়ে অনেকটা মিনমিনিয়ে জবাব দিলেন , আতংকে দিন কাটছে দাদা ...

ওপারে প্রবালদা যেন আচমকাই থমকেগেলেন । একটু অবকাশ নিলেন যেন । তারপর বললেন , তুমি মোদ্দা কথাটাই বলেছো শেখর , সারা বিশ্বই তো আতংকে ডুবে আছে এখন ... তবে আতংকের রকমফের রয়েছে , যারা ভাববাদী , আগে থেকেই যারা অনেক কিছু ভেবে বসে থাকে ওদের আতংকটা অত্যন্ত কষ্টকর । অদৃষ্টবাদীদের তো আরো করুণঅবস্থা ! ডুবে যাও শেখর , তোমার প্রিয়তম কাজের মধ্যে ডুবে যাও ...তুমি তো ব্যস্ততম লেখক ছিলে একদিন, ওইদিনগুলি আবার ফিরিয়ে নিয়ে আস , ভাবো, তোমার বয়স বাড়েনি , কমেছে , আর যত দূর সম্ভব দুকান বন্ধ রাখবে , দেখবে তুমি বেশ ভালো আছো ...

বলতে বলতে হেসে ফেললেন তিনি । সংগে সংগে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নও হয়ে গেল যেন । বুঝলেন না শেখরবাবু , নেটের সমস্যা হলো, নাকি প্রবালদাইকেটে দিলেন ! ...


শেখরবাবু ফিরে এলেন বাড়ির বাস্তবে । চারপাশ দেখলেন , শ্যামলীকে চোখে পড়লো না । শ্যামলীকে দেখলেই যেন বুকটা ধক করে উঠবে ! ভাস্করের পরিবারের বিষয়ে যদি আরো খারাপ খবর দেয় !এ ছাড়া শ্যামলীর তো দুই বান্ধবী আছেই , যাদের সংগে ওর ফোনাফোনি লেগেই থাকে , ওরা যেন শ্যামলীকে সাপ্লাই দেওয়ার জন্য খবরের ঝুড়ি নিয়ে বসে থাকে !আর যতসব খারাপখবর । প্রবালদাকে কী ভাবে বোঝাবেন শেখরবাবু ,বাস্তবের এই কঠিন পরিস্থিতিতে যে দুকান বন্ধ রাখা যায় না !

শেখরবাবু লেখার প্যাডটাকে ড্রয়ার থেকে বের করে ওখানে মনোসংযোগ করার চেষ্টা করলেন । একটা লেখা আধাআধি হয়ে আছে , ওটাকে শেষ করতে হবে । ক্যামুর ' দ্য প্লেগ ' নিয়ে একটা লেখা দেবেনবলেছিলেন অনলাইন পত্রিকা ' বার্তালাপ ' -এর সম্পাদক প্রিয়ব্রতকে । ওর ফর্মাইস ফেলা যায় না । লেখা শুরু করেন তিনি । এগিয়ে যেতে থাকেন । লিখতে লিখতেই মনের অজান্তে ভাস্করের চেহারাটা ভেসে ওঠে লেখার পৃষ্ঠা জুড়ে । ' দ্য প্লেগে' র ভাবনাটা তো তাঁর মাথায় ঢুকিয়েছে ভাস্করই। বইটির ইংরেজি ভারশানটিতো ওরই কেনা । শেখরবাবু অনেকটা ছিনিয়ে এনেছেন বইটি ওর কাছ থেকে । বইটি পড়তে পড়তে একদিন কি ঝোঁক চাপলো শেখরবাবু? ? ? ? ? ? র বাংলায় অনুবাদ করবেন । ওর এই সিদ্ধান্তের কথা ভাস্করকেও জানিয়েছিলেন সংগে সংগে ।

--- এই ভাস্কর ' দ্য প্লেগ ' এর বাংলায তর্জমা করব ভাবছি ...

---বাহ , খুব ভালো কাজ হবে , এই সিচুয়েশনে হট কেকের মতো বিক্রি হবে ...

--- আরে ধুরঅতো ভাবিনি ,কেন যেন ঝোঁক চাপলো ...

--- হ্যাঁ হ্যাঁ কর কর , অনুবাদ করতে করতে তোর মনের পরিবর্তনও হয়ে যেতে পারে ,তুই তো ভীষণ ভয়ে আছিস । এ ছাড়া , ওই সময়ের মহামারীরসংগে এই সময়ের এই অতিমারীরএকটা চারিত্রিক মিলও খুঁজে পাবি। অনুবাদে এই মেসেজটাই দিতে পারবি।

--- তুই বলছিস, আমি পারবো ?

--- অবশ্যই পারবি ...

--- আমেরিকান ইংলিশ , অক্সফোর্ড নয়তো ওয়েবস্টার্স নিয়েবসতে হবে , ফ্রেঞ্চও মেশানো আছে ...

--- গুগুল ঘাটলেও পাবি , চিন্তা নেই , শুরু করে দে ...

--- শুরু করলে কবে যে শেষ করতে পারব । একটা রিডিং তো দিয়েছি , আরো দুতিনটা রিডিং দিতে হবে ...

এরপর ভাস্কর আর কিছু বলেনি । শুধু একটা ছোট্ট কাশি দিয়েছিল ।

ভাবতে ভাবতে কান্না এসে যায় শেখরবাবুর ।দু চোখ ভিজে ওঠে । আর লেখায় এগোতে পারেননা । ওই ছোট্ট কাশিটা যে পরে ভাস্করের দুর্মর শ্বাসকষ্টের কাশি হয়ে দাঁড়াবে কেউ তো ভাবতে পারেনি । এত তাড়াতাড়ি তাঁকে যে হতবাক করে ছেড়ে চলে যাবে সে এটাও কল্পনার অতীত ছিল ।

এমন সময় মোবাইলটা বেজে ওঠে ...। শেখরবাবু মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখেন ডাইনপিট্যারফোন । সনৎসরখেল, কলেজের বন্ধু । ওর বাড়ি ডিফু। এখানে এসে একটি ঘর ভাড়া করে থাকতো আর পড়াশোনা করতো ।সহপাঠী থেকে ধীরে ধীরে আড্ডার বন্ধু হয়ে উঠেছিল ও । আড্ডার বন্ধুদের মধ্যে ও-ই ছিল একমাত্র ডানপিটে আর বেপড়োয়া। খেপাটেপনাও ছিল ।শ্মশানের সাধুদের সংগে বসে নির্বিবাদে ছিলিম টানতো । কখনো কখনো দেশিও গিলতো । পাড়ার বা পরিচিত কারো আত্মীয়স্বজন মারা গেলে ওর ডাক পড়তোই । কারণ অন্ত্যেষ্টির ক্রিয়াকর্মের সব খুঁটিনাটি ওর জানা ছিল । এ ছাড়া মানুষের যে কোনো বিপদে আপদে ও অনাহূত হয়েই ছুটে যেত। তখন ওকে দেখা যেতকখনো কখনো হাসপাতালে রাত জেগে মুমূর্ষু রোগীর পাহারা দিতে , কখনো কখনো ওই রোগীর সংকট মুহূর্তে রক্ত দেওয়ার জন্য এগিয়ে যেতে ।প্রথম থেকেই লক্ষ্য করা গিয়েছিল সনতেরভেতর যেএকটা সেবামূলক মন আছে।ওর বন্ধু-বান্ধব অথবা পাড়া-পড়শির যত ঝামেলার কাজ ও যেচে নিয়ে নিত ।কাউকেই মনমরা হতেদিত না । করে দিত কাজটা । কিন্তু ওর বদভ্যাসটা ছাড়তে পারেনি সনৎ।ওই গোপনে শ্মশানে গিয়ে ছিলিম টানা আর দেশি গেলা । ওর এই নেশার কথা শেখর আর ওর আড্ডারবাকি বন্ধুরা ছাড়া আর কেউ জানত না । একবার সনৎ জোর করে শেখরবাবু দের নিয়ে গিয়েছিল শ্মশানের সাধুদের ওই ছিলিম টানা আর দেশি গেলার আসরে । বাড়িতে ফিরে সে রাতটা যে কী ভাবে কেটেছিল ভাবলে এখনো গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে শেখরবাবুর!

এতো হুজ্জতির মধ্যেও কিন্তু সনৎ কলেজের সব পরীক্ষায় উতরে যেত। ওর মাথাটাপরিষ্কার ছিল । অল্প পড়লেই মনে রাখতে পারত ।ও সারা বছর জুড়েভালো ছাত্রদের মতো পড়াশুনাকরত না বা পড়ার সুযোগ পেত । ক্লাসও মিস করত বলে নন-কলেজিয়েট হয়ে ফাইন দিয়ে পরীক্ষার ফিস জমা দিত । ও শুধু পরীক্ষার আগের তিন মাস রাত জেগে পড়াশোনা করতো । ওতেইকেল্লাফতে করে দিত । টাইম আর স্টার সাপোর্টও করেছে ওকে ।

... সনৎ আর ফিরে যায়নি ডিফু। কারণ , কলেজ পাশ করে বসে থাকতে হয়নি ওকে।ওই স্টারের জোরেসরকারী ট্রেজারি অফিসে গুযাহাটিতেই চাকরি হয়ে গিয়েছিল ওর । গাড়ি বাড়ি বিয়ে থা সব এখানেই করেছে , উলুবাড়িতে ।মা-বাবাকেএখানে নিয়ে এসেছে । এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে ভরা সংসার ।সনতের অবসর নেওয়ার আগেই যে ওরছেলেমেয়ে দুটো স্বনির্ভর হয়েছে শেখরবাবু শুনেছিলেন কয়েক বছর আগেই।সনতের ইচ্ছে ছিল অবসরের পর দেশ-ভ্রমণে বেরোবে স্ত্রীকে নিয়ে । কিন্তুনিস্তার পায়নি সনৎ । ওর কাঁধেএখন ' এন-আর-সি' র সার্কেল-অফিসারের দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে । ...ওর চোখের সামনেযথার্থ প্রমাণথাকা সত্ত্বেও অন্যায়ভাবে কী ভাবে বাঙালিদের নামগুলো বাদ দেয় ওর উপরওয়ালারাসে -কথা ও মাঝে মাঝে মোবাইলেদুঃখ করে বলে । প্রতিবাদ করতে পারে না । প্রতিবাদ করলেইতো হুমকির পর হুমকি আসবে ওর মোবাইলে ।

শেখরবাবু মোবাইলটা অন করে সাড়া দেন ---

--- হ ক ডাইনপিট্যাক্যামন আছছ ?

ওপারে সনৎ চুপ করে থাকে কিছুক্ষণ । তারপর মুখ খোলে , অনেকটা কাঁপা কাঁপা গলায় জানতে চায় , কি শুনতাছি, ভাস্কর বলে নাই ?

--- ঠিকই শুনছসরে সনৎ ...

--- ক্যামতে হইল !

--- আর ক্যামতে , কোভিড ...

--- শ্যাষম্যাস কোভিডেই নিল ভাস্কররে !

বলতে বলতে কেঁদে ফেলল সনৎ।মোবাইলের ওপারে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে সনৎ যে কাঁদছে ।

একটু প্রসমিত হয়ে নিজেকে একটু সংযত করে আবার জিজ্ঞেস করে সনৎ , বডি দিছে ?

--- না রে , বডি ত দিব না, মর্গে ফালাইয়া রাখছে , কবে যে ...

আর বলতে পারেননা শেখরবাবু। গলা যেন বসে গেল ।

ওপারে সনৎ নির্বাক । একটু বাদে স্যাঁতসেঁতে গলায় জিজ্ঞেস করে , ভাস্করের পোলা-মাইয়া দুইটা কী করে রে শ্যাখর ?

শেখর জবাবে বলে , হেরা অ্যাসটাব্লিসড , পোলা রাহুল এএসইবি-র ইঞ্জিনিয়ার , মাইয়া তাপসী সৈদ্য এমবিবিএস পাশ করছে ...

ওপারে সনৎ উচ্ছ্বাসেবলে ওঠে , বাবা যৈগ্য বাপের যৈগ্য পোলা-মাইয়া ...ভাস্কর আমার বন্ধু আছিল বইলাগর্ব হইতরে শ্যাখর , হগ্গলরে কইতাম হের কথা ...

বলে একটু থামে সে । তারপর আবার বলে , তুই , অঞ্জন , মানিকও আমার গর্ব...অঞ্জন তবেংকক আছে হের পোলার লগে, কি জানি ক্যামন আছেব্যাটায় , অনেকদিন কুনো যুগাযুগ নাই , তুই জানস নেকি কিছু ?

শেখরবাবুবলে ওঠেন ,অঞ্জনের মাইয়া বিপাশা ত গুযাহাটিতেইথাকে , ব্যাংকে কাম করে , অর জামাই বিশুওএকি ব্যাংকে ,মাজে মাজে দেখা হইয়া যায় পানবাজারে , অর লগে নয়ত বিশুর লগে , তখন অঞ্জনের খবর পাই , মাজে নাকিপ্রস্টেটের একটা অপারেশন হইছে অর , অখন ভালই আছে ...

--- আর মানিক ত মানিকই, বিন্দাস আছে, অর স্পোর্টসম্যান স্পিরিট অখনও রইয়া গেছে, পাড়ার পোলাপানগুলার লগে অখন-অ ক্রিকেট খ্যালে , কিন্তু ব্যাটায় কানে কম শুনে, মোবাইলে কথা কয়োন যায় না, অর বৌ বিনিতার থিকা অর খবর লই ...

বলতে বলতে একটু স্মিত হেসে ওঠে সনৎ।

ওই অবসরেই শেখরবাবুশুধোবার সুযোগ খোঁজে , তর আর তর ঘরের খবর কী ক অখন ?

সনৎ হাসতে হাসতে জবাব দেয় , মা কালীর দয়ায় ভালই ...

--- তর মাইয়া-পোলা দুইটাই ত বেংগালোরে , হেরাক্যামন আছে ?

--- ভালই , হেরা অখন অগঘরে থাক্যাই অন লাইনে অফিসের কাম করে , চাকরিটা যায় নাই এই রক্কা , কম্পানি অখন অগ আধা বেতন দেয় ...

--- হ , প্রাইভেট কম্পানিগুলা ত এরমি করতাছে , আধা ব্যাতনদেয় নয়ত ছাটাই করে ...অখন ক তর সময়ক্যামতেকাটে ?

সনৎ সংগে সংগে জবাব দেয় না । যেন একটু দম নিল । তারপর অনেকটা বিরক্তির সুরে বলে উঠলো ,আর কী ভাবে সময় কাটামু রে শ্যাখর , অখনও মাজে মাজেএই করনার মইধ্যেও এন-আর -সি অফিসে যাইতে হয় , হেরাই গাড়ি কইরা লইয়া যায় , মাজে মাজে যাইতে হয়ট্রাইবুনালঅফিসেও , ওইখানে আমারেশালা ভ্যাড়া বানাইয়া লয় ,ভাল খাওন দাওনদেয় , আসল কামটা হেরাই কইরা লয়, বেশি ভ্যা ভ্যা করলে জবাই করার ভয় দেখায় ...ইলেকশান আইতাসে না , হেগ তৎপরতা ত বাড়বই ...

বলতেবলতে হেসে ফেলে সে ।ওই হাসিনিয়েই এবার অনেকটা হেঁয়ালি সুরে বলে ওঠে , আমার কথা বাদ দে, অখন ক তর ক্যামতেকাটতাছে , গল্প-উপন্যাস ল্যাখ্তাছস ত ? --- ধুর , আর কত লেখুম , আমি না লেখলেবাংলা সাহিত্যের কুনো ক্ষতি হইব না ...

---ওই শালা , কে কইছে বাংলাসাহিত্যের কুন ক্ষতি হইবনা , আমি কইতাছি হইব , তর লেখন লাগব...


ক্রমশ