কবি মনোজ আচার্যের জন্মদিনে অন্যদেশ পরিবারের শুভেচ্ছা।
সন্ধ্যাতারা
সেদিনও রোদ মেখেছিল
ধুলাগাঁয়ের বারোর মেয়েটা
আকাশের মেঘ হতে চাইতো সে...
বৃষ্টি হয়ে ভিজিয়ে খিলখিলিয়ে
হাসবে বলতো প্রায়ই
সন্ধ্যার আলো আঁধারি পথে
তারা গোনার খেলা
বাহান্ন ..তিপ্পান্ন...চুয়া.....
দানবের থাবা বসে মুখে...
চারটে হিংস্র দানব
ছিঁড়ে খায় একটা নিস্পাপ
ফুলের কুঁড়িকে....
সবুজে ভেসে যায়
তার স্বপ্নগুলো নিথরে
লাল বৃষ্টি রূপে।
সেদিন শত চেষ্টাতেও
বজ্র হতে পারে নি সে!
পুনঃশ্চ
যদি আমি নষ্ট হই এক পরন্ত অবেলায়
আমার হৃদপিন্ডে যদি বাসা বাঁধে অবাধ্য ছত্রাকেরা অবলীলায়
যদি কালসিটে জ্যোৎস্নায় ভিজে যাই এক আবছা পূর্ণিমায়
আমার অস্তিত্বের অবশিষ্টটুকু উচ্ছিষ্ট ডাস্টবিনে পাবি।
সেদিন হলুদ অপরাহ্নে আমি তোর প্রেমিক হতে চেয়েছিলাম।
শহুরে কালো রাস্তার পীচ পেরিয়ে তোর বাড়ী।
বিলাসিতায় মোড়া অট্টালিকায় এক আমোদী সন্ধ্যায়
এক কাঁচ জানালায় তোকে বলেছিলাম ফিরে যেতে।
নদীর স্রোতে ভেসে যেতে যেতে ঠিকানাহীন জীবন নিবি বলে
তোর প্রথম ছোঁয়া আমায়।
সেদিন এক কংক্রিট ফুটপাতের গল্প বলেছিলাম তোকে।
আমার শরীরময় আঁচড় কাটা দগদগে দাগ
এখনও শৈশব মোছেনি আমার।
আজ তোর সীমান্তে তারকাঁটা, শরীরে বিষাক্ত ঘাম!
মনে ভরা হা হুতাশ, ভয় হারাবার সম্মান!
আমার বুকে রক্তক্ষরণ, বিঁধে থাকা শূল
এই পৃথিবীর পচন -গলন, স্মৃতিময় টাটকা ভুল।
নামতা বলার দিন ফুরোলো, তোর মুক্তিবেলায়
জ্যোৎস্নাটা তাই ধূসর এত ছন্দ বাঁধার খেলায়।
এক সুবিশাল গহ্বরের দিকে এগিয়ে চলেছি ক্রমাগত।
ফুরোনের শেষবেলায় রোমন্থনের এক সুদীর্ঘ নিঃশ্বাসে
শুরু হোক নূতন অধ্যায়!