১৯ মে ভারতে সপ্তম ও শেষ ধাপের ভোট হওয়ার পরই সবগুলো মিডিয়া তাদের নিজস্ব এক্সিট পোল প্রকাশ করা শুরু করেছে। বিজেপির জন্য আশার কথা হচ্ছেে এক্সিট পোলগুলো একটির সঙ্গে অন্যটি প্রায় মিলে যাচ্ছে। কোথাও আকাশ-পাতাল ফারাক দেখা যাচ্ছে না। মিডিয়াগুলোও নিশ্চয়ই দায়িত্ব সহকারে এক্সিট পোলগুলো যাচাই-বাছাই করে প্রকাশ করেছে। কারণ ২৩ তারিখ ভোটের আসল ফলাফল দিলে কেউ দর্শকদের কাছে স্টুপিড প্রমাণিত হতে চাইবে না।
তবে এক্সিট পোল জিনিসটার মধ্যে গলদ আছে। ভারত তো দূর কি বাত, পশ্চিমের উন্নত দেশগুলোতেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রায় সব এক্সিট পোল ভুল প্রমাণিত হয়েছে। পপুলার মিডিয়া ও এক্সিট পোল বলেছিল, ব্রেক্সিট হচ্ছে না। কিন্তু ফলাফল দেওয়ার পর দেখা গেল, মানুষ ব্রেক্সিটের পক্ষেই ভোট দিয়েছে। সব মিডিয়া, জরিপ প্রতিষ্ঠান ও সবশেষ এক্সিট পোলগুলো বলেছিল, ট্রাম্পকে বিশাল ব্যাবধানে হারিয়ে ক্ষমতায় আসছেন হিলারি ক্লিনটন, আদতে যা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এক্সিট পোল ভুল প্রমাণিত হওয়ার সর্বশেষ উদারহণটি ঘটেছে গত পরশুদিন অস্ট্রেলিয়াতে। দেশটির ফেডারেল ইলেকশন শেষে সবগুলো এক্সিট পোলের ফলাফল বলছিল, বিরোধী লেবার পার্টি ভালো ব্যবধানে ক্ষমতায় আসছে। কিন্তু ফলাফল ঘোষণার পর দেখা গেল ক্ষমতাসীন লিবারেল-ন্যাশনাল জোট ক্ষমতা ধরে রেখেছে। ভোটের এ ফলাফলকে ‘মিরাকল’ বলেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।
এক্সিট পোলের গলদের উদাহরণ আছে স্বয়ং ভারতেই। ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের এক্সিট পোল বাজেভাবে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। মূল ফলাফল ঘোষণার পর সবাই অবাক হয়েছে। এমনকি নানা প্রতিকূলতা সত্বেও কংগ্রেস নিজেকে সরকারে দেখে তারাও যথেষ্ঠ অবাক হয়েছে।
২৩ তারিখই নিশ্চিত জানা যাচ্ছে, কে বসতে যাচ্ছে ক্ষমতায়।