শুক্রবার, মার্চ ২৯, ২০২৪

একটি অভিশপ্ত দ্বীপভূমি, সেখানে থাকে এক জার্মান সাদা ভূত ... ৫

বিট্টুস আবার ওই সবজান্তার মতোই বলে ওঠে, ‘ কী যে বল দেবদূত দাদু,প্যারাডাইস তো আকাশে, অ্যাঞ্জেলরা(দেবদূত) যে ওই প্যারাডাইসেই থাকে আমরা সবাই জানি , মাঝে মাঝে ওরা পৃথিবীতে নেমে আসে কিছুদিনের জন্য...।’

দেবদূতদাদু তাঁর হাতের আঙুলগুলোকে ফোঁটাতে ফোঁটাতে বিট্টুসকে বোঝাবার প্রয়াস চালায়, ‘না রে আমার ছোট্ট বন্ধু, আমি অ্যাঞ্জেল নই, আমি তোমাদের মতোই মানুষ,এই দেখোনা আমার হাতের আঙুলগুলো ফুটছে , আমারও ক্ষুধা ছিল , ঘুম ছিল, ভয় ছিল ,রাগ ছল ,দুঃখ ছিল ,ব্যথা ছিল , কান্না ছিল ...’।

--ছিল’! ওরা সবাই একত্রে অবাক হয়।

--ওই আর কি, বললাম আর কি।’ দেবদূতদাদু বিষয়টা এড়িয়ে যান।

--তোমার মা-বাবা আছে?’ ভোম্বল শুধোয় ।

--হ্যাঁ আছে’, দেবদূত জবাব দেন।

--ওঁরা কোথায়?’

বুলটির এই প্রশ্নের উত্তরে দেবদূতদাদু বলেন, ‘জার্মানের ক্যারন নামে এক গ্রামে...’।

--ওদের ছেড়ে তুমি এখানে এই অভিশপ্ত জায়গায় পড়ে আছ, ভয় করে না?’ শিম্মির গলায় অবাধ কৌতূহল।

দেবদূতদাদু বসা ছেড়ে উঠে চলে যান নিজের বিছানায়। কম্বলটা গায়ে দেন। তারপর স্মিত গলায় বলেন, ‘ না না এখন ভয় আর আমি এক হয়ে গেছি...প্রথম প্রথম ভয় করত ওই আগ্নেয়গিরিটার চোখ রাঙানো দেখে, নীরব থেকেও যেন ওটা হুংকার দেয়, বুক কেঁপে উঠত আমার।মাঝে মাঝে ওটা কাঁদেও,অথচ ওটার ভেতরেও সৌন্দর্য রয়েছে।একদিকে ওটার যেমন রাগও রয়েছে,রয়েছে হাসিও। যখন ও হাসে দু চোখ সরানো যায় না,সৌন্দর্যের যেন ঢল নামে...।কখনো কখনো রাগ করতে করতেও ওটা হাসে।...মাঝে মাঝে ওটা কাঁদেও, প্রায় দিনই মাঝ রাতে বোয়ে আসা বাতাসে ওটার চাপা কান্না শুনতে পাওয়া যায় ...ওই কান্নার সাথে আমি মিশে থাকি এখন...’, বলতে বলতে আবার একটু হেসে নিলেন তিনি।দেবদূতদাদুর হাসিটি দেখে বুলটি এবার আঁতকে ওঠে। ওর মনে পড়ে গেল বাংলা স্যার একবার কোনও একটা পাঠ বোঝাতে বোঝাতে বলেছিলেন, ‘ভূতুড়ে-ভূতুড়ে...’।এটা সেই ভূতুড়ে-ভূতুড়ে হাসি নাকি ! দেবদূতদাদু আবার শুরু করেন, ‘...ওর ওই সুন্দর রূপ ছড়িয়ে পড়ে দ্বীপভূমির নির্জন বনে-বনান্তরেও।প্রতিদিন ভোরে উঠে দেখতাম নতুন নতুন ফুলে ফলে ভরে উঠেছে এই দ্বীপভূমি। তখন মনে হত স্বয়ং ঈশ্বর যেন ধ্যানস্থ হন এখানে এসে। এখন আর ভয় পাই না,ওই আগ্নেয়গিরিটা আমার খুব কাছের হয়ে গেছে...।ওর কোলেই আমি এখন দিনরাত কাটাই...। এই দ্বীপটাকেও আমি খুব ভালো বেসে ফেলেছি হে আমার সোনা বন্ধুরা, দ্বীপটাও আমায় ভালো বেসে ফেলেছে...।ওর ছায়া-বাতাস-ঘ্রাণ পেয়ে আমি নিজেই অভিশপ্ত হয়ে উঠেছি আজ...’।

দেবদূতদাদুর কথাগুলো বুলটিদের কাছে কেমন রহস্যময় রহস্যময় ঠেকল।


###

ওই মুহূর্তে শিবিরের চালে ভারী কিছু পড়ার শব্দ ভেসে এলো...। দেবদূতদাদু বলে উঠলেন, ‘তোমরা ভালো করে শরীরে কম্বল জড়িয়ে নাও...,’। বলতে বলতে তিনি উঠে গিয়ে হিটারের রেগুলেটর বাড়িয়ে দিলেন , ডিম লাইটটা জ্বালিয়ে বাকি লাইটগুলো নিভিয়ে দিলেন। তারপর ফিরে এসে আবার শুয়ে পড়লেন। বুলটিদের উদ্দেশ্য করে আবার বললেন, ‘ ছোট্ট বন্ধুরা, গুড নাইট,তোমরা এবার ঘুমিয়ে পড়...’।

অবিরত বরফ পড়ছে। ঠাণ্ডার মাত্রাও বেড়ে যাচ্ছে। বুলটির ওই বরফ পড়ার শব্দে নেশা ধরে গেছে যেন...। বিট্টুসের নাক ডাকা শুরু হয়ে গেছে...।ভোম্বল ফিসফিসিয়ে পাশে শুয়ে থাকা শিম্মিকে উদ্দেশ্য করে গলা কাঁপাতে কাঁপাতে বলে, ‘এ-ই, বাতাসে কে যেন কাঁ-দ-ছে...।’

শিম্মি জিজ্ঞাসু হয়, ‘কে কাঁদছে?’

--ওই যে দেবদূতদাদু বললেন,আগ্নেয়গিরিটা...।’

ভোম্বলেরর কথাটা শুনে শিম্মি কান খাড়া করে, ‘হ্যাঁ, ঠিক বলেছিস তো...!’ বলতে বলতে সে ভয়ে কম্বল মুড়ি দিল।

আরেক পাশে শুয়ে থাকা ডাব্বু ইতিমধ্যে ঘুমিয়ে পড়েছে, ঘুমাতে ঘুমাতে কান্না সুরে বলছে, ‘আমি বাড়ি যাবো, আমি বাড়ি যাবো...।’

এক সময় সবাই ঘুমিয়ে পড়ল... ।


###

দেবদূতদাদুর রাইটহ্যান্ড বাজপাখিটার ডাকে পরদিন সবার ঘুম ভাঙলো। তখন ভোর হয়ে গেছে। শিবিরের ফাঁক–ফোকর দিয়ে ভেতরে ঢুকছে দিনের আলো।এখন আর বরফ পড়ছে না। গাছের পাতা থেকে বরফ গলে গলে পড়ছে জল। সে-জল পড়ার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে শিবিরের চালে। ওদের ঘুম ভাঙার পর প্রথমেই মুখ খোলে বুলটি, ‘কিরে বিট্টুস তুই দেখি বেশ নাক ডাকাস...’। বিট্টুস লজ্জা পেয়ে বলে ওঠে, ‘তাই নাকি, আমি তো টের পাইনি?’বুলটি আবার বলে ওঠে, ‘তোর ওই নাক ডাকানি শুনে ভোম্বল আর শিম্মি ভেবেছিল আগ্নেয়গিরিটার কান্না...’। ওর এ কোথা শুনে সবাই হো হো করে হেসে ওঠে। ওই মুহূর্তে ‘সেনসর ম্যান’ সাবধান করে ওঠে ‘শান্ত হও শান্ত হও...’। সবাই মুখে আঙুল চাপা দেয়। খানিক নীরবতার পর বুলটি আবার নিচু গলায় বলে ওঠে, ‘আর ডাব্বু তো বাড়ি যাবার জন্য কান্নাকাটি করছিল...’। বুলটির এ কথায় ফোঁস করে ওঠে ডাব্বু, ‘ কি বলছিস আমি কান্নাকাটি করেছি,মিথ্যেবাদী, লায়ার, কখন করলাম?’

--আর তুই কি করেছিস?’ হঠাৎ শিম্মি বুলটিকে শুধোয়। বুলটি অবাক হয়ে বলে, ‘আমি আবার কি করলাম’? ‘কেন, ও মা গো ও মা গো বলে ঘুমের মধ্যে আমাকে জড়িয়ে ধরিসনি?’ শিম্মির এ কথায় বাকিরা ঠোঁট চেপে হেসে ওঠে । বুলটি দু হাত দিয়ে মুখ ঢেকে বলে ওঠে , ‘মিথ্যে কথা...’।

এই খুনসুটির ভেতর হঠাৎ সবাই লক্ষ্য করল দেবদুতদাদু বিছানায় নেই।শিবিরের ভেতরেও কোথাও নেই। ওরা সবাই বিছানা ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। বেরিয়ে এসেই ওরা মুখোমুখি হয় এক মনমাতানো দৃশ্যের!বুলটি আবেগে উথলে ওঠে, ‘অউ...।’

বিট্টুস অবাক বিস্ময়ে আপন মনে বলে ওঠে, ‘আমার মামার প্যারাডাইস বোধ হয় এটাই, তিনি কার আঁকা একটি ছবি দেখে বলেছিলেন প্যারাডাইস বিউটি...’।

--‘প্যারাডাইস বিউটি’র বাংলা কিরে বিট্টুস?’ বুলটির এই প্রশ্নের জবাবে বিট্টুস বলে, ‘ মামাকেই জিজ্ঞেস করেছিলাম, তিনি বলেছিলেন স্বর্গীয় সুন্দর...’।

--স্বর্গীয় ব্যাপারটা কী-ঈ?’, ভোম্বলের গলায় লম্বা কৌতূহল। বিট্টুস প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে এ ভাবে, ‘কী-জা-নি-ই...’।

--আমার নানি জানে...’,শিম্মি বলে ওঠে । ‘কী রে-এ...’ সবার গলায় মিলে যায় একই জিজ্ঞাসা। শিম্মি জবাব দেয়, ‘ আমার নানি বেহেস্ত (স্বর্গ) থেকে ফিরে এলেই জানতে পারব...’। এই উত্তরে সবাই শিম্মির দিকে হা করে তাকিয়ে থাকে। খানিক অবসর । বিট্টুস শিম্মির কথাটিকে আমল না-দিয়ে বলে ওঠে, ‘ আমার মনে হয় এখানে আমার মামা এলে এটাকেও বলতেন প্যারাডাইসড বিউটি।’

বুলটি বলে ওঠে, ‘ হয় তো তাই, এখানে আসাটা সার্থক হয়েছে আমাদের। পৃথিবী যে এতো সুন্দর এখানে না এলে জানা যেত না...।’

বিট্টুস বলে ওঠে, ‘হ্যাঁ, ঠিকই বলেছিস বুলটি,এটা যেন ভগবানের জাদুর দেশ... এতো সুন্দর...’।

বিট্টুসের এই কথার সঙ্গে সঙ্গেই ওরা সবাই মগ্ন হয়ে পড়ে ওই জাদুময় দৃশ্যে...! ওদের কারো চোখে পলক পড়ে না। এতোই মুগ্ধকর দৃশ্য। পুরো আগ্নেয়গিরিটা বরফে ঢাকা পড়ে গেছে। আগ্নেয়গিরিটাকে আর আগ্নেয়গিরি মনে হয় না এখন। যেন বরফে ঢাকা কোনও এক উঁচু গিরিশৃঙ্গ। সারা দ্বীপভূমির পথঘাট প্রান্তর ছেয়ে গেছে বরফে। বনাঞ্চলের গাছগুলোর মাথায় মাথায় বরফ-চূর্ণ।দেখে মনে হচ্ছে গাছগুলো যেন বরফের ছাতা মাথায় নিয়ে সারি সারি দাঁড়িয়ে আছে।ভোরের আলো এসে পড়ছে ওই গিরিশৃঙ্গে, সারা দ্বীপভুমিতে...। অদ্ভুত প্রতিফলন হচ্ছে সেখান থেকে চাঁদের আলোর মতো...।

বুলটি হঠাৎ মগ্নতা ভাঙে, ‘আচ্ছা, আমাদের দেবদূতদাদু কোথায় গেলেন, সে খোঁজ তো আমরা পেলাম না...?’ ভোম্বলের গলায় উঠে আসে ব্যাকুল প্রশ্ন, ‘হ্যাঁ তাই তো ,কোথায় ভ্যানিশ হয়ে গেলেন দেবদূতদাদু...!’ শিম্মি বলে ওঠে, ‘ চল তালে আমরা সামনের দিকে এগোই, দাদুকে খুঁজব, মজা করে বরফও পারাবো,হি...হি...।’

ওই মুহূর্তে কোথা থেকে দেবদূতদাদুর রাইটহ্যান্ড বাজপাখিটা উড়ে এসে বসে কাছের গাছটাতে।ওটা পাখা ঝাপটাতে ঝাপটাতে...লাফাতে লাফাতে...আকারে ইঙ্গিতে বোঝাতে চেষ্টা করে বুলটিরা যেন ওকে অনুসরণ করে।বাজটা উড়ে পাশের আরেকটি গাছে গিয়ে বসে।তারপর আরেকটি গাছে...। বুলটিরাও ওর পেছু নেয়...।পেছু নিতে নিতে এক সময় একটি জায়গায় এসে ওদের দাঁড়িয়ে পড়তে হয়। সেখানে ওরা দেখে একটা ছোটোখাটো বরফ ঢাকা বেদির ওপর বসে আছেন দেবদূতদাদু। মুখটা তাঁর স্থির বরফশৃঙ্গরূপ আগ্নেয়গিরিটার দিকে। চোখ দুটো তাঁর ধ্যানস্থ। বাজপাখিটাও তাঁর কাঁধে বসে আগ্নেয়গিরিটার দিকে স্থির তাকিয়ে আছে!

বুলটিরা ওই মুহূর্তে কী করবে ভেবে উঠতে পারে না।ওরা সেখানে দাঁড়িয়ে থেকেই লক্ষ্য রেখে চলে দেবদূতদাদুর দিকে।দেবদূতদাদু একটু বাদে মুখ দিয়ে ‘ও মাই গড ভোলকানো... ও মাই গড ভোলকানো...’ এই শব্দগুলো উচ্চারণ করা শুরু করেন।বাজপাখিটাও ওঁর সঙ্গে তাই করতে থাকে...।এই রকম উচ্চারণ করতে করতে তিনি এক সময় চোখ খুলে কিছুক্ষণের জন্য তাকিয়ে থাকেন আগ্নেয়গিরিটির দিকে...। তারপর চোখ ফেরান বুলটিদের পানে। তাকিয়েই হেসে ফেলেন। হাসতে হাসতে বলেন, ‘ তোমরা একা একাই শিবির থেকে বেরিয়ে এসেছ!সাবধান,একা একা এই সুন্দরের ভেতর বেরিও না ,এই সুন্দর কিন্তু ভীষণ নিষ্ঠুর,পথ ভুলিয়ে দেয়, হারিয়ে যাবে, কখনো –সখনো হালুম করে গিলে খেয়েও ফেলে...আর তোমাদের মতো বাচ্চাদের পেলে তো আহ্লাদে আটখানা...।’ বলতে বলতে তিনি ধীর পায়ে বুলটিদের কাছে এসে দাঁড়ান।তারপর ওদের সবার মাথায় হাত বুলোতে বুলোতে বলে ওঠেন, ‘ আমার এক সঙ্গী, নাম তাঁর চার্লস ফ্রেটন, সে একা একা চলে গিয়েছিল ওই গভীর সুন্দরের ভেতরে, আজও ফিরে আসেনি...।’বলতে বলতে চোখের জল সংবরণ করতে পারলেন না তিনি। ঝর ঝর করে কেঁদে ফেললেন।বুলটিরা থতমত খেয়ে যায়।

দেবদূতদাদু একটু শান্ত হয়ে আবার বলে ওঠেন, ‘চলো আমরা এখন শিবিরে ফিরে যাই, ব্রেকফাস্ট করি, তারপরে আমরা বেরবো দ্বীপভুমি ভ্রমণে।ততক্ষণে রোদ উঠে যাবে। তখন দেখবে এই দ্বীপভূমি আর আমার ওই ঈশ্বর আগ্নেয়গিরিটির রূপ কেমন পাল্টে গেছে...’।বুলটি কাঁপা কাঁপা গলায় জিজ্ঞেস করে, ‘ আপনার ওই সঙ্গীটি আজও ফিরে এলো না,কোথায় গেল তা’লে,ওই তুষার শিখরটি ওকে গিলে ফেলল?’ দেবদূতদাদু চুপচাপ এগিয়ে যেতে থাকেন,কোনো জবাব দিলেন না। ডাব্বুরও কৌতূহলী মন আর রোধ মানে না , ‘ দেবদূতদাদু আপনি ওই আগ্নেয়গিরিটাকে খুব ভয় পান না? ভগবান বলে মানেন?’ দেবদূত দাদু স্মিত হেসে জবাব দিলেন, ‘আগে ভয় পেতাম, এখন আর ভয় পাই না।ওই আগ্নেয়গিরিটা এখন আমার একমাত্র প্রাণের বন্ধু,আমাকে তো ওঁর কাছেই জমা রেখেছি অনেক কাল হয়ে গেল, সকাল-সন্ধে ওঁকেই আমি পুজো করি...’। বলতে বলতে তিনি আবার মুখের হাসিটি ছড়িয়ে দিলেন।ওই মুহূর্তে বিট্টুস আব্দারের সুরে বলে ওঠে, ‘দেবদূত দাদু, আমরা ওই আগ্নেয়গিরির তুষারশিখরে চড়তে যাবো্‌...।’

দেবদুতদাদু থমকে দাঁড়ালেন।তারপর উল্লসিত হয়ে বলে উঠলেন , ‘ব্রেভো মাই লিটল ফ্রেন্ড ব্রেভো...তোমার এই সাহসিকতাকে আমি বাহবা না দিয়ে পারছি না , ওই তুষারশিখরটাকে চড়তে যাওয়ার ইচ্ছাটাও সাহসিকতার পরিচয় বলে আমি ভাবি... সত্যই কি তোমরা তৈরি আছ? ওই খাড়া তুষারশিখরটাকে বাওয়া অত্যন্ত কঠিন কাজ... পাহাড় চড়তে পার তোমরা? এটা তো শিখর...।


চলবে ...